loader
logo

On the eve of 74th Republic Day

Advertising Club Calcutta, Standard Publicity Private Limited and Chetana presents

“মহাত্মা বনাম গান্ধী”

মহাত্মা গান্ধী আর তাঁর বড় ছেলে হরিলাল..  দুজনের স্বপ্ন ছিল  বিপরীতমুখী। হরিলালের স্বপ্ন ছিল বিদেশে পড়াশোনা করা, বাবার মতো ব্যারিস্টার হওয়া, অন্যদিকে গান্ধীজি আশা করেছিলেন ছেলে তাঁরই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার আন্দোলনে  একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হয়ে উঠবে।

গান্ধীজি যখন বিদেশে পড়াশোনার জন্য হরিলালের বদলে অন্য একজনকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন তা হরিলালের কাছে চরম আঘাত হয়ে আসে।  আদর্শগত  কারণে  গান্ধীজির বিভিন্ন কঠোর অনুশাসন, স্ত্রী কস্তুরবা এবং সন্তানদের প্রতি আপাতকঠিন আচরণ হরিলালকে বিচলিত করে, সে তার পিতার আদর্শ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  বারংবার চেষ্টা করেও হরিলাল প্রথাগত শিক্ষার ডিগ্রি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। অর্থ উপার্জনের নানা পরিকল্পনাতে ও সে ক্রমাগত ব্যর্থ হয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়। বাবা- ছেলের মধ্যেকার দূরত্ব ঘোচাতে মা কস্তুরবা এবং স্ত্রী গুলাবের প্রচেষ্টাও বিফল হয়।

স্ত্রী গুলাবের মৃত্যুর পর হরিলাল মনের দু:খে মদ্যপান শুরু করে। সে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় আবার কয়েকদিন পরে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসে।

স্বাধীনতা আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে গান্ধী এবং তাঁর জেষ্ঠ্যপুত্রের মধ্যে সর্ম্পকের ফাটল আরও বাড়তে থাকে।

হরিলাল তার বাবার বিশাল ছায়ায় বেঁচে থাকা অসহ্য বোধ করে,  সে নিজের পরিচয়ে একজন  সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে চায়।

গান্ধীজিকে হত্যা করা হয়.. হরিলাল আরও একা হয়ে পড়ে। গান্ধীজির শেষকৃত্যে উপস্থিত হরিলাল সাধারণ মানুষের কাছে অচেনাই থেকে যায়। নিজের পরিচয় খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে একা চরম দারিদ্রের মধ্যে হরিলাল মারা যায়।

গান্ধীজি আর হরিলাল.. পিতা-পুত্রের সম্পর্কের এই টানাপোড়েন...  এই নিয়েই আমাদের এই প্রযোজনা "মহাত্মা বনাম গান্ধী"।